Vastu Tips for Money: বর্তমান সময়ে অর্থের অভাব আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। তবে বাস্তুশাস্ত্র বলছে, খুব সাধারণ কিছু উপায় মেনে চললেই সংসারে বর্ষার বৃষ্টর মতো ধন-সম্পদের স্রোত বয়ে আসবে আপনার ঘরে। তনে এর মধ্যে অন্যতম সহজ উপায় হল—ঘরের মধ্যে সঠিক দিক এবং নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট কিছু গাছ থাকা। এই গাছগুলিকে বাস্তুশাস্ত্রে ‘মানি ম্যাগনেট’ হিসেবে জানা যায় ।
আজের এই প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি এমন গাছ তার স্থান উল্লেখ করতে যাচ্ছি, বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত পড়বেন –
গাঁদা ফুল গাছ: সৌভাগ্যের প্রতীক, সম্পদের আকর্ষণ
গাঁদা ফুলের গাছ আমাদের বাঙালি ঘরে ঘরে বহুদিন ধরেই পরিচিত রয়েছে। কিন্তু বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, এই গাছের গুরুত্ব শুধু সৌন্দর্য বাড়ায় না বা পুজোর কাজে ব্যবহারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না।
হলুদ রঙের গাঁদা ফুল কে সৌভাগ্য ধরা হয় এবং সম্পদের প্রতীকও বলা হয়ে থাকে। বাড়ির উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে যদি ছোট টবে এই গাছটি লাগানো হয়ে থাকে, তবে তা ঘরে ধন-সম্পদ টেনে আনে বলে বিশ্বাস করা হয়ে থাকে।
কোন দিকে রাখবেন?
- উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক হলো সবচেয়ে শুভ হয়ে থাকে।
- এই দিকগুলোতে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ সবচেয়ে বেশি থাকে।
কীভাবে যত্ন নেবেন?
- এই গাছে নিয়মিত জল দিতে হবে।
- অবশ্যই শুকনো পাতা ও ফুল ছেঁটে ফেলতে হবে।
- বিশেষ করে শুক্রবার হলুদ গাঁদা ফুল দিয়ে যদি লক্ষ্মী পুজো করা হয়ে থাকে, তাহলে তা আর্থিক সমৃদ্ধিতে বিশেষ সাহায্য করে থাকে।
জেড প্ল্যান্ট: মুদ্রার মতো পাতা, টেনে আনে সম্পদ
‘ক্র্যাসুলা ওভাটা’ নামে পরিচিত এই গাছটির পাতাগুলো ছোট, মোটা ও গোলাকার হ’য়ে থাকে, দেখতে অনেকটা মুদ্রার মতো হয়। এই কারণেই এই গাছকে মানি প্ল্যান্টের ভাইও বলা হয়।
জেড প্ল্যান্ট কে শুধুমাত্র সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে ধরা হয় না, বরং স্ট্যাবিলিটি এবং গ্রোথ-এর প্রতীক হিসেবেও বিবেচনা করা হয়ে থাকে ।
কোথায় রাখবেন?
- বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণ হলো এই গাছ রাখার জন্য আদর্শ হতে পারে।
- অফিসের প্রবেশপথে রাখলে কর্মক্ষেত্রে সাফল্য ও আর্থিক লাভ সম্ভব হয়।
মানি প্ল্যান্ট: ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ ঘটায়
সাধারণত প্রায় প্রতিটি বাঙালি বাড়িতেই এই গাছটি দেখা যায়। তবে অনেকে জানেন না, এটি শুধু একটি সুন্দর গৃহসজ্জার উপাদান হিসেবে কাজ করে না, বরং একটি শক্তিশালী বাস্তু অনুকূল গাছও।
মানি প্ল্যান্ট ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ করে থাকে এবং নেতিবাচক শক্তি দূর করে থাকে। একই সঙ্গে এটি আর্থিক স্থিতিশীলতাও বাড়াতে পারে বলে বিশ্বাস করা হয়।
কোথায় রাখবেন?
- দক্ষিণ-পূর্ব কোণ সবচেয়ে উপযুক্ত হয়ে থাকল।
- এই গাছ মাটিতে না লাগিয়ে জলে রেখে রাখলেও সুফল মেলে থাকে।
একটা টিপস:
- লতানো স্বভাবের এই গাছটি কখনও মেঝে ছুঁতে দেওয়া উচিত নয় বলে জানা যায়।
- নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে, নইলে বাস্তুদোষও হতে পারে।
শমী গাছ: শনিদেব ও লক্ষ্মীদেবীর আশীর্বাদ
শমী গাছ বাস্তুশাস্ত্র ও জ্যোতিষশাস্ত্র—দুই ক্ষেত্রেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। বলা হয়, এই গাছ শনিদেবের কৃপা আনতে সাহায্য করে থাকে এবং লক্ষ্মীদেবীর আশীর্বাদও মেলে এর মাধ্যমে।
কীভাবে কাজে দেয়?
- এই গাছ বাড়িতে রাখলে ঋণমুক্তি, সম্পদ বৃদ্ধি এবং নতুন আয়ের উৎস তৈরি হয়ে থাকে বলে বিশ্বাস করা হয়।
- যারা দীর্ঘদিন ধরে অর্থকষ্টে ভুগছেন, তাঁদের জন্য এটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হতে পারে।
কেন গাছ লাগানোতেই এমন প্রভাব?
বাস্তুশাস্ত্রের মতে, প্রতিটি গাছের মধ্যে নির্দিষ্ট শক্তির তরঙ্গ প্রবাহিত হয়ে থাকে। সঠিক দিক ও নিয়ম মেনে সেই গাছগুলি লাগালে তা ঘরে ইতিবাচক শক্তি তৈরি করে থাকে এবং সেই শক্তির মাধ্যমেই টানা পড়ে সম্পদ ও সৌভাগ্যও।
তবে শুধু গাছ লাগালেই হবে না, চাই নিয়মিত পরিচর্যা, পরিষ্কার পরিবেশ এবং বিশ্বাসও রাখতে হবে।
বাস্তুশাস্ত্র মানলে আরও কী কী মেনে চলবেন?
- মনে রাখবেন, কখনও শুকনো বা মরা গাছ ঘরে রাখবেন না।
- অবশ্যই বাড়ির মূল দরজার পাশে কাঁটাযুক্ত গাছ রাখা উচিত নয়।
- টবে গাছ লাগালে তা যেন খুব বেশি নোংরা না হয় বা জল থমকে না থাকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
ছোট্ট উদ্যোগেই আসতে পারে বড় সুখবর
যদিও এটি একটি ছোট্ট টব, তার মধ্যে একটি গাঁদা ফুল গাছ বা মানি প্ল্যান্ট—এই ছোট প্রয়াসই আপনার জীবনে আনতে পারে বড় পরিবর্তন, আপনার অজান্তেই। এটি শুধু যে টাকার চুম্বক হিসেবে কাজ করবে তা নয়, এই গাছগুলো মানসিক প্রশান্তি এবং ঘরের পরিবেশকেও উন্নত করে থাকে।
তাই, মনে রাখতে হবে—বাস্তুশাস্ত্র পরামর্শ দিতে পারে, তবে আপনার নিজের পরিশ্রম ও ইতিবাচক মনোভাবই আপনাকে আর্থিক উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। এটি কেবল বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে করা হয়, কোনো বৈজ্ঞানিক কারন খুজতে না যাওয়ায় ভালো।

NJ Team Writes content for 5 years. I have well experience in writing content in different niches. Please follow us regularly for getting genuine and authentic information.