Free Silai Machine Yojna : বর্তমানে আনাদে দেশে মহিলাদের আত্মনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে একাধিক সরকারি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। সরকারের এমনই একটি প্রকল্প হলো ‘ফ্রি সেলাই মেশিন যোজনা’, যা বিশেষত নিম্নআয়ের পরিবারের মহিলাদের জন্য আনা হয়েছে যাতে করে তাদের আয় এবং স্বাবলম্বী হওয়ার রাস্তা খুলে দিতে পারে।
শুধু তাই নয়,এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার ₹১৫,০০০ পর্যন্ত আর্থিক সহায়তাও দিতে চলেছেন, যাতে মহিলারা সেলাই মেশিন কিনে নিজেদের ঘর থেকেই ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং নিজের পায়ে দাড়াতে পারেন।
কেন এই যোজনা মহিলাদের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ?
গ্রামগঞ্জে বা শহরতলিতে অনেক মহিলাই আছেন, যাঁরা পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে কিছু করতে চাই, কিন্তু মূলধনের অভাবে শুরু করতে অসুবিধা হয়। এই প্রকল্প তাঁদের জন্য স্বপ্নপূরণের রাস্তা হতে চলেছে। কারণ এতে তারা বিনামূল্যে সেলাই কাজ শেখার সুযোগের পাশাপাশি, সেলাই মেশিন কেনার জন্য টাকাও দিতে চলেছে।
এই যোজনার মূল উদ্দেশ্য হলো মহিলাদের আত্মনির্ভর কটে গড়ে তোলা এবং ঘরে বসেই আয় করার সুযোগ করে দেওয়া। বিশেষ করে বিধবা, পরিত্যক্তা, বা যাঁদের নিয়মিত কোনও আয় করার সুযোগ নেই – তাঁদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
কী সুবিধা মিলবে এই যোজনায়?
- ₹১৫,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা মিলবে
- বিনামূল্যে সেলাই শেখার সুযোগ পাবেন
- প্রশিক্ষণের সময় প্রতিদিন ₹৫০০ করে ভাতা পাবেন
- সরকারি অনুমোদিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ট্রেনিং পাবেন
- ঘরে বসেই নিজস্ব সেলাই ব্যবসা শুরু করার পরামর্শ ও সহায়তা পেতে পারেন
কারা এই যোজনার জন্য আবেদন করতে পারবেন?
এই যোজনার সুবিধা পেতে হলে কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা থাকা জরুরি—
- আবেদনকারী ভারতের নাগরিক হওয়া উচিত
- বয়স ২০ থেকে ৪০ বছর এর মধ্যে থাকতে হবে
- পরিবারের বার্ষিক আয় ₹১.৪৪ লক্ষ টাকার নিচে থাকতে হবে
- যে রাজ্য থেকে আবেদন করতে ইচ্ছুক , সেখানে তিনি বাসিন্দার প্রমাণ দিতে হবে
- যাঁরা ইতিমধ্যেই সরকারি প্রকল্পে সেলাই মেশিন পেয়েছেন, তাঁরা এই যোজনার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে
- বিধবা, পরিত্যক্তা, শারীরিকভাবে অক্ষম মহিলারা অগ্রাধিকার পেয়ে থাকবেন
আবেদন করতে কী কী কাগজপত্র লাগবে?
- আধার কার্ড
- বসবাসের প্রমাণপত্র
- আয়ের সার্টিফিকেট
- বয়সের প্রমাণ
- ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- মোবাইল নম্বর
- বিধবা/পরিত্যক্তা/প্রতিবন্ধকতার প্রমাণ (যদি প্রযোজ্য হয়)
- জাতি প্রমাণপত্র (যদি প্রযোজ্য হয়)
কীভাবে আবেদন করবেন?
এই যোজনায় আবেদন করার পদ্ধতি খুবই সহজ ও সরল এবং প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ—
- সরকারি ওয়েবসাইট থেকে ফর্ম ডাউনলোড করতে হবে
- ফর্ম প্রিন্ট করে নিজের নাম, ঠিকানা, আয়, বয়স, ব্যাঙ্ক ডিটেলস ইত্যাদি তথ্য লিখতে হবে
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যুক্ত করে ফর্ম জমা দিতে হবে
- জমা দিতে হবে নিকটস্থ জনসেবা কেন্দ্র (CSC) বা জেলা শিল্প অফিসে গিয়ে বা আবেদন শুরু আছে কিনা জিজ্ঞাসা করতে হবে
- অফিসাররা যাচাই করার পরে উপযুক্ত প্রার্থীদের ₹১৫,০০০ টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে
- এরপর সেলাই মেশিন ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সরকার নিজে থেকে জানাতে পারে
কাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই যোজনায় সুযোগ দেওয়া হবে?
- বিধবা বা পরিত্যক্তা মহিলা হলে
- যারা স্থায়ী আয়ের উৎসহীন হয়ে আছেন
- শারীরিকভাবে অক্ষম মহিলারা
- যারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায় কিন্তু মূলধনের অভাবে থেমে রয়েছে
কতটা উপকারে আসবে এই প্রকল্প?
সরকারের এই যোজনার সবথেকে বড় সুবিধা হল যে এতে কম বিনিয়োগে বড় রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। সেলাই শেখার পর একজন মহিলা গৃহস্থালির কাজের ফাঁকেও সেলাইয়ের কাজ করে প্রতিদিন ৩০০–৫০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন যদি সঠিক পরিকল্পনা করে থাকেন।
এটি তাঁদের পরিবারের আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকবে, পাশাপাশি আর্থিক স্বাধীনতার পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্যে করবে।
যাঁরা সত্যিই ঘর বসে কিছু একটা করতে আগ্রহী, তাঁদের জন্য এই প্রকল্প একটি বড় সুযোগ নিয়ে এসেছে। এটি শুধু টাকা পাওয়ার জন্য নয়, বাস্তবিক আত্মনির্ভর হতে চাইলে এই ফ্রি সেলাই মেশিন যোজনা কাজে লাগাতে পারেন।
এক্ষেত্রে নিয়মিত অনুশীলন, কঠোর পরিশ্রম ও আন্তরিকতা থাকলে, এই ছোট উদ্যোগ থেকেই তৈরি হতে পারে একটি স্বপ্নের দারুণ ব্যবসা।

NJ Team Writes content for 5 years. I have well experience in writing content in different niches. Please follow us regularly for getting genuine and authentic information.