Online Trending Business Idea: বর্তমানে প্রত্যেক মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে কোন না কোন ভাবে যুক্ত রয়েছে। তাইতো বর্তমানে ইনকাম করার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অন্যান্য কর্মসংস্থান থেকে সোশ্যাল মিডিয়া কর্মসংস্থান দেশেজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই অনলাইন মাধ্যমে ইনকাম করার ঝোক অনেক বেড়ে গেছে। যদি আপনিও এমন একজন হয়ে থাকেন তাহলে আজকের প্রতিবেদন আপনারই জন্য। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক
আসলে বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ চায় স্বাধীনভাবে আয় করতে, বিশেষ করে যারা চাকরি পান না বা ঘর থেকে বেরিয়ে কাজ করতেও ইচ্ছুক না। এ অবস্থায় অনলাইন ব্যবসা হতে পারে একটি দারুণ সুযোগ। কিছু সহজ পদক্ষেপ অনুসরণ করে এবং নিজের স্কিল কাজে লাগিয়ে, আপনি প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকারও বেশি আয় করতে পারেন এর মাধ্যমে।
সম্পর্কিত পোস্ট
২ কিংবা ৪ চাকা গাড়ি নিয়ে পরিবহন মন্ত্রকের নয়া নিয়ম জারি, না মানে ৫ গুণ বেশি জরিমানা - New Traffic Rule 2025অনলাইন প্রোডাক্ট সেলিং ব্যবসা
বর্তমানে ই-কমার্স হলো সবচেয়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি ব্যবসা। আপনি নিশ্চয়ই Amazon, Flipkart বা Meesho থেকে নানা ধরনের প্রোডাক্ট কিনেছেন। এই প্রোডাক্টগুলো যাঁরা বিক্রি করেন, তারাই হচ্ছেন অনলাইন সেলার হিসেবে পরিচিত। এবার আপনি চাইলে তাদের মধ্যেও একজন হতে পারেন।
কিভাবে শুরু করবেন?
প্রথমে Amazon, Flipkart, Meesho-এর মতো প্ল্যাটফর্মে একটি সেলার অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এরপর আপনি নিজে তৈরি করা বা পাইকারি দামে কেনা প্রোডাক্ট লিস্ট করে বিক্রি করা শুরু করতে পারেন।
প্রয়োজনীয় ইনভেস্টমেন্ট ও লাভ
শুরুতে ৫০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকার মত বিনিয়োগ করলে যথেষ্ট। আপনি যদি ভাল প্রোডাক্ট এবং কাস্টমার সার্ভিস নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলে ২৫%-৪০% পর্যন্ত মার্জিনে আয় করা কোনো অসম্ভব বওষয় নয়। অনেক সেলার প্রতি মাসে ৫৫,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করছেন কেওবা তার থেকেও বেশি।
কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন?
- গৃহস্থালী বিভিন্ন পণ্য
- নারীদের কসমেটিকস জিনিসপত্র
- পোশাক
- হ্যান্ডমেড প্রোডাক্ট সমূহ
- ইলেকট্রনিক এক্সেসরিজ
এই ধরনের পণ্যের চাহিদা সবসময় বেশি থাকে অনলাইন কেনাকাটায়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: কোন ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই আয় করুন
যদি আপনার কোনো ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে থাকে, তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হতে পারে আপনার জন্য সবচেয়ে সহজ এবং লাভজনক একটি ব্যবসার আইডিয়া।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী?
এখানে আপনি অন্য কোম্পানির প্রোডাক্টের লিংক শেয়ার করেন আপনার চ্যানেল বা ওয়েবসাইট বা অন্য অনলাইন মাধ্যমে। কেউ যদি আপনার দেওয়া লিংকে ক্লিক করে সেই প্রোডাক্ট কেনে, তাহলে আপনি কমিশন পাবেন এবং এর ফলে ইনকামও হবে।
কোথা থেকে অ্যাফিলিয়েট শুরু করবেন?
- Amazon Affiliate
- Flipkart Affiliate
- Meesho Affiliate
- EarnKaro
- Impact
- ShareASale
কেন এটি লাভজনক?
বড় কথা হল এখানে আপনার পণ্য কিনে রাখতে হয় না, কোন প্যাকেজিং বা ডেলিভারির ঝামেলাও এখানে নেই। শুধুমাত্র কনটেন্ট তৈরি করে প্রোডাক্টের লিংক শেয়ার করলেই যথেষ্ট। যারা নিয়মিত ভিডিও বানান বা ব্লগ লেখেন, তাদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত আয় করার সুযোগ হতে চলেছে।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ব্যবসা: নিজের দক্ষতা কাজে লাগান
যদি আপনি ওয়েবসাইট তৈরির নানান কাজ করতে পারেন, তাহলে ঘরে বসে একটি লাভজনক সার্ভিস বেসড ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ ছোট-বড় ব্যবসা অনলাইন উপস্থিতি চায়, এর ফলে ওয়েবসাইট তৈরি করার প্রয়োজন থাকেই।
কিভাবে শুরু করবেন?
আপনি WordPress বা Custom Coding ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরির কাক শুরু করতে পারেন। Fiverr, Upwork, Freelancer-এর মতো মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল খুলে কাজ নেওয়া শুরু করে দিন।
কেন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট জনপ্রিয়?
বর্তমানে প্রতিটি ব্যবসা চায় অনলাইন মার্কেটিং, সেক্ষেত্রে একটি রেসপনসিভ ও সুন্দর ওয়েবসাইট থাকা আবশ্যিক হয়ে দাড়াই । তাই এই সেক্টরে চাহিদা রয়েছে প্রচুর।
আয় কত হতে পারে?
এখানে শুরুতে প্রতিটি সাইটের জন্য ৫,০০০–১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত চার্জ করতে পারেন। প্রতি মাসে ৪-৫টি কাজ করলেই ৫০,০০০+ টাকা উপার্জন করতে পারেন।
নতুনদের জন্য টিপস
- শুরুতে পরিচিতদের কম খরচে কাজ করে দিয়ে শুরু করুন
- নিজের একটি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলুন
- ফ্রি কোর্স করে নিজের স্কিল বাড়াতে পারেন
অন্যান্য সম্ভাবনাময় অনলাইন ব্যবসা আইডিয়া
গ্রাফিক ডিজাইনিং ও ভিডিও এডিটিং সার্ভিস
আপনি যদি Photoshop, Canva বা Premiere Pro-এর মতো সফটওয়্যার চালাতে পারেন, তাহলে বিভিন্ন কোম্পানি, ইউটিউবার ও ইনফ্লুয়েন্সারদের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত নানা কাজ পেতে পারেন।
ই-বুক বা ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি
নিজে একটি ই-বুক বা নোটস তৈরি করে Amazon Kindle বা Gumroad-এর মতো প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করতে পারেন।
টিউটরিং ও কোর্স বিক্রি
আপনি যদি কোনো বিষয় দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে সেটির অনলাইন টিউশন বা কোর্স হিসেবে বিক্রি করতে পারেন।
ড্রপশিপিং ব্যবসা
এতে আপনাকে কোনো প্রোডাক্ট স্টোর করতে হয় না। ক্রেতা অর্ডার দিলে সরাসরি সাপ্লায়ার প্রোডাক্ট পাঠিয়ে দিয়ে থাকে।
পরিশেষে বলা যায়, অনলাইন ব্যবসা বর্তমানে শুধু বিকল্প আয়ের উৎস নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যারিয়ারও হতে পারে আপনার জন্য। আপনি যদি নিয়মিত কাজ করেন এবং ধৈর্য ধরে এগিয়ে যেতে পারেন, তবে মাসে ৫০,০০০ টাকার বেশি আয় করা মোটেও অসম্ভব বিষয় হবে না। এই সকল কাক শুরু করতে চাইলে ছোট পরিসরে পরিকল্পনা করে এগিয়ে যান, এবং নিজের স্কিল অনুযায়ী সঠিক প্ল্যাটফর্ম বেছে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন
লাভ দ্বিগুণ, এই ব্যবসার চাহিদা সারাজীবন, ৩০ হাজার আয় করুন কাল থেকেই - Evergreen Business Idea
NJ Team Writes content for 5 years. I have well experience in writing content in different niches. Please follow us regularly for getting genuine and authentic information.