Business Idea : বর্তমান সময়ে বেকারের সংখ্যা দিনে দিনে হু হু করে বেড়েই চলেছে। ঠিকই সময় অনেকে চায় যাতে ভালো একটি ইনকাম এর আইডিয়া পেতে।অনেকে আবার কাজ না করেই একটু হালকা পুজি করে এই মাসে যাতে ভালো ইনকাম করতে পারে। আজকের প্রতিবেদনে তেমনি এক ব্যবসার আইডিয়া দিতে যাচ্ছি যেখানে আপনি শুধু একবার এই কাজ শুরু করতে পারলেই বসে বসে মাসির ৭০ হাজার টাকা কিংবা তার বেশি আয় করতে পারবেন। শুধু তাই নয় এই আই একেবারে নিশ্চিত কমিশন আকারে আপনি প্রতি মাসে পেয়ে যাবেন।
তাই সেই উদ্যোগকে মাথায় রেখেই আজকে আমরা এমন একটি সহজ এবং লাভজনক ব্যবসার কথা বলতে যাচ্ছি, যা আপনি খুব অল্প পুঁজিতে শুরু করে ঘরে বসেই মাসে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। বড় কথা হলো, এই ব্যবসা শুরু করতে আপনার কোনও অভিজ্ঞতার দরকার নেই, এমনকি নিজের হাতে কাজ করতেও হবে না।
সম্পর্কিত পোস্ট
মাত্র ₹9-এ 1.5GB ডেটা, আনলিমিটেড কল-SMS, Hotstar ফ্রি! দেখুন সম্পূর্ণ তালিকা -Jio Secret Plan 2025আসুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে নিই এই ব্যবসাটি ঠিক কী এবং কীভাবে আপনি শুরু করবেন।
এটি হল SBI ATM ব্যবসা
এই ব্যবসাটির নাম হল SBI ATM ফ্রাঞ্চাইজি ব্যবসা। অর্থাৎ, আপনি নিজের জায়গায় একটি SBI ATM বসিয়ে ব্যাংকের সঙ্গে একটি চুক্তিতে কাজ করে মাসিক প্রচুর ইনকাম করতে পারেন। এখনকার দিনে প্রায় প্রত্যেকেরই একটি করে এটিএম কার্ড আছে। অথচ প্রত্যেকটি জায়গায় যথেষ্ট ATM মেশিন নেই। এই অভাবকে কাজে লাগিয়ে আপনি যদি নিজের বাড়ি বা ব্যবসা এলাকায় একটি SBI ATM মেশিন লাগাতে পারেন, তাহলে তা থেকে প্রতিমাসে ভালো আয়ের সুযোগ রয়েছে।
কেন এই ব্যবসা লাভজনক?
- প্রচুর চাহিদা: আমরা সকলে জানি মানুষ নগদ টাকা তোলার প্রয়োজনে মানুষ ATM ব্যবহার করেন। বিশেষ করে ব্যস্ত শহর বা বাজার অঞ্চলে একটি ATM সারাদিনে বহুবার ব্যবহার হয়ে থাকে।
- কম ঝুঁকি: ব্যবসার ঝুঁকি বলতে গেলে নেই। কারণ ব্যাংক নিজে থেকেই মেশিন বসাবে, মেইনটেন করবে এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থাও ব্যঙ্কের হবে।
- কম পুঁজি: আরেকটি ভালো বিষয় হলো, এই ব্যবসা শুরু করতে তুলনামূলকভাবে অনেক কম টাকায় শুরু করা যায়।
- কাজের অভিজ্ঞতা দরকার নেই: আপনাকে নিজে ATM চালাতে হবে না। শুধু জায়গা ও কিছু নথিপত্র দিলেই যথেষ্ট।
কীভাবে আয় হয়?
SBI বা তাদের নির্ধারিত সংস্থা (যেমন: Tata Indicash, India1, Muthoot ATM ইত্যাদি) প্রতি ট্রানজ্যাকশনের ভিত্তিতে আপনাকে কমিশন এর মাধ্যমে ইনকাম দিবে।
উদাহরণস্বরূপ ধরুন:
- প্রতি ক্যাশ উইথড্রয়াল ট্রানজাকশনে ₹৮–₹১৫ পর্যন্ত কমিশন দেওয়া হয়ে থাকে
- প্রতি ব্যালেন্স চেক বা মিনি স্টেটমেন্টে ₹২–₹৫ পর্যন্ত কমিশন দেওয়া হবে
প্রতি দিনে যদি গড়ে ৩০০টি ট্রানজাকশন হয়, তাহলে মাসে আপনি ৬০,০০০ টাকা বা তার বেশি উপার্জন করতে পারেন।
আবেদন যোগ্যতা
এই ব্যবসায় যুক্ত হতে গেলে কিছু শর্ত অবশ্যই পূরণ করতে হবে। নিচে দেখে নিন:
শর্ত সমূহ | বিস্তারিত |
---|---|
বয়স | ২১ বছর বা তার বেশি |
ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা | মাধ্যমিক বা সমতুল্য |
জায়গা | ৫০ থেকে ৮০ স্কয়ার ফিট জায়গা |
অবস্থান | ATM থেকে অন্তত ১০০ মিটারের দূরত্বে |
বিদ্যুৎ সংযোগ | ২৪ ঘণ্টার বিদ্যুৎ সুবিধা বাধ্যতামূলক থাকতে হবে |
কী কী ডকুমেন্ট লাগবে?
আপনার যদি এই ব্যবসায় আবেদন করতে আগ্রহ থেকে থাকে, তাহলে নিচের নথিগুলি প্রস্তুত রাখতে হবে:
- আধার কার্ড
- ভোটার আইডি কার্ড
- প্যান কার্ড
- ঠিকানার প্রমাণ (রেশন কার্ড, বিদ্যুৎ বিল, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট)
- জায়গার খতিয়ান ও ছবি
- GST নম্বর (যদি থাকে)
- ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও পাসবুক
- কোম্পানির দেওয়া আবেদন ফর্ম ও চুক্তিপত্র
আবেদন পদ্ধতি
অনলাইন আবেদন পদ্ধতি:
- SBI-এর অফিসিয়াল ও অনুমোদিত ফ্রাঞ্চাইজি ওয়েবসাইটে যেতে হবপ (যেমন Tata Indicash, India1 ATM, Muthoot ATM)
- ফ্রাঞ্চাইজি আবেদন অপশন খুঁজে বের করতে হবে
- আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে, প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করতে হবে
- সাবমিট করার পর কোম্পানি আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে
অফলাইন আবেদন:
চাইলে আপনি আপনার নিকটবর্তী SBI শাখাতে গিয়েও বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারবেন। অনেক ক্ষেত্রেই ব্যাংক লোকাল এজেন্সির মাধ্যমে ATM স্থাপন করে থাকে।
ইনভেস্টমেন্ট বা খরচ কত?
এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনি কোন কোম্পানির মাধ্যমে ATM বসাচ্ছেন তার উপর ভিত্তি করে। সাধারণত নিচের মতো খরচ হতে পারে:
খরচের খাত | আনুমানিক খরচ |
---|---|
সিকিউরিটি ডিপোজিট ফি | ₹২,০০,০০০ থেকে ₹৩,০০,০০০ |
রেন্ট/জমি উন্নয়ন | স্থানভেদে আলাদা |
বিজনেস রেজিস্ট্রেশন ও GST | ₹৫,০০০ থেকে ₹১০,০০০ |
অন্যান্য খরচ সমূহ | লাইটিং, UPS, সিসিটিভি ইত্যাদি |
নোট: মোট আনুমানিক খরচ: ₹২.৫ লক্ষ থেকে ₹৩.৫ লক্ষ টাকার মধ্যে।
ব্যবসা শুরু হলে কতদিনে আয় শুরু হবে?
এক্ষেত্রে ATM বসানো, ইন্সটলেশন, টেস্টিং ইত্যাদি সম্পন্ন হতে ২০ থেকে ৩০ দিন সময় লেগে। এরপরে আপনার ATM চালু হয়ে গেলে প্রথম মাস থেকেই ইনকাম শুরু হয়ে যাবে। দিনে যত বেশি মানুষ ব্যবহার করবে, আয়ও তত বাড়বে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
- ATM বসানোর জায়গা বেছে নেওয়ার সময় চেষ্টা করতে হবে যেন সেটি লোকালয় বা বাজার এলাকার খুব কাছে হয়
- জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখতে হবে (CCTV, লাইটিং)
- বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট কানেকশন নিশ্চিত করুন
- ATM চালু হওয়ার পরও সপ্তাহে একবার দেখে নিতে হবে সব কিছু ঠিকঠাক চলছে কিনা
সবশেষে বলাই বাহুল্য যে, SBI ATM ব্যবসা আজকের দিনে সবচেয়ে লাভজনক ও সহজ ব্যবসার মধ্যে একটি। কোনও ঝুঁকি ছাড়াই, বাড়িতে বসে স্থায়ী ইনকামের উৎস তৈরি করতে এই ব্যবসা নিঃসন্দেহে সেরা চয়েস হতে চলেছে। যারা বর্তমানে চাকরি খুঁজে সময় নষ্ট করছেন, অথবা ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা চান, তাদের জন্য এই ব্যবসা একদম উপযুক্ত।

NJ Team Writes content for 5 years. I have well experience in writing content in different niches. Please follow us regularly for getting genuine and authentic information.