Aadhaar Card For SIR 2025: সম্প্রতি বিহারে ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটার। আর এই ঘটনা নিয়ে চরম ক্ষোভ ও বিভ্রান্তির মধ্যে, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে — এখন থেকে আধার কার্ডও প্রমাণপত্র হিসেবে গ্রহণ করা হবে ভোটার তালিকায় নাম ফের অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন প্রক্রিয়ায় বলে জানা গিয়েছে।
আর এই নির্দেশ শুধুমাত্র বিহারের জন্য নয়, বরং ভোটার তালিকার সংশোধনী প্রক্রিয়ায় একটি বড় দৃষ্টান্ত হয়ে দাড়িয়েছে। চলুন বিস্তারিত দেখে নেওয়া যাক।
সম্পর্কিত পোস্ট
সুখবর! মাসে ৫,০০০ এবং বছরে ৬০,০০০ দিচ্ছে মমতা সরকার সঙ্গে ফ্রী ট্রেনিং, নতুন প্রকল্প - WB Govt New Scheme৬৫ লক্ষ ভোটার নাম বাদ — কেন এত বড় বিতর্ক?
সম্প্রতি বিহারের ভোটার তালিকা বিশেষ সংশোধনী প্রক্রিয়ার সময় দেখা গিয়েছে, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম মুছে ফেলা হয়েছে।
কিন্তু সমস্যা হলো —
- বাদ পড়া ভোটারদের সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি এখনো।
- কেন নাম বাদ দেওয়া হলো তার কোনো পরিষ্কার কারণ দেওয়া হয়নি বলে জানা যায়।
- সাধারণ মানুষের কাছে তথ্য পৌঁছায়নি, ফলে অনেকে ভোটাধিকার হারানোর ভয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বলে জানা যায়।
সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার যে নির্দেশ দিয়েছেন তা মূলত তিনটি বড় পয়েন্টে ভাগ করে দিয়েছে —
- তালিকা প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা হবে
- বাদ পড়া ৬৫ লক্ষ ভোটারের সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করতে হবে ওয়েবসাইটে।
- তালিকায় কেন নাম বাদ দেওয়া হলো, সেই কারণ উল্লেখ করতে হবে কমিশনকে।
- তথ্যপ্রাপ্তি সহজ করতে হবে
- EPIC নম্বর দিয়ে অনলাইনে সার্চ করলেও বাদ পড়া তথ্য পাওয়া যাবে এমন করতে হবে।
- প্রতিটি ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিস (BDO) ও পঞ্চায়েত অফিসে এই তালিকা টাঙিয়ে রাখতে হবে বলে উল্লেখ করা হ’য়েছে।
- আধার কার্ড গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র
- ভোটার তালিকায় নাম ফের অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করার সময় আধার কার্ডকেও প্রমাণপত্র হিসেবে গ্রহণ করতে হবে বলে জানা যায়।
- তবে এটি শুধুমাত্র বাসস্থানের প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে, নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে নয় এটা স্পষ্ট করে।
আদালতের বক্তব্য: আধার পরিচয়পত্র, নাগরিকত্ব নয়
সুপ্রিম কোর্ট আবারও স্পষ্ট করেছে —
- আধার কার্ড পরিচয় ও বাসস্থানের প্রমাণ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
- তবে নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে আধার গ্রহণযোগ্য হবে না।
এর মানে হলো, আধার দিয়ে আপনি ভোটার তালিকায় নিজের নাম ফেরাতে পারবেন, কিন্তু শুধুমাত্র নাগরিকত্ব প্রমাণে আধার যথেষ্ট হবে না।
বিহারের মামলার পটভূমি
জানা যায়, এই মামলাটি অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (ADR) নামে একটি সংগঠন দায়ের করেছিল।
তাদের অভিযোগ —
- নির্বাচন কমিশন স্বীকার করেছে যে ৬৫ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে এটা ঠিক।
- কিন্তু কেন এই নাম মুছে ফেলা হলো, তার কোনো ডকুমেন্টেড কারণ জানানো হয়নি।
- এতে অনেক প্রকৃত ভোটার ভোটাধিকার হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন।
কখন থেকে কার্যকর হবে নির্দেশ?
সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করার সময়সীমা বেধে দিয়েছে।
এর মানে —
- আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বাদ পড়া ভোটারের তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
- তালিকায় উল্লেখ থাকবে কেন নাম বাদ পড়েছে তার।
- নতুন আবেদনকারীরা আধার কার্ড দিয়ে পুনরায় নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদন জানাতে পারবেন।
সাধারণ ভোটারের জন্য এর মানে কী?
এই নির্দেশ ভোটারদের জন্য কয়েকভাবে স্বস্তি নিয়ে আসছে —
- তথ্য স্বচ্ছতা বৃদ্ধি
- বাদ পড়া নামের তালিকা প্রকাশ হলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে কেন বাদ পড়লো।
- আবেদন প্রক্রিয়া সহজ হবে
- আগে যেখানে বিভিন্ন নথি জোগাড় করতে হতো, এখন আধার কার্ড দিয়েই আবেদন সম্ভব হবে।
- স্থানীয় পর্যায়ে তথ্যপ্রাপ্তি
- BDO ও পঞ্চায়েত অফিসে তালিকা থাকায় গ্রামীণ ভোটারদের জন্য সুবিধা হবে বলে জানা যায়।
তথ্যসংক্ষেপ টেবিল
বিষয় | বিস্তারিত বিবরণ |
---|---|
বাদ পড়া ভোটার সংখ্যা | ৬৫ লক্ষ (শুধুমাত্র বিহারে) |
মূল অভিযোগ | কারণ না জানিয়ে নাম মুছে ফেলা হয়েছে |
সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ | বাদ পড়া তালিকা প্রকাশ ও কারণ উল্লেখ বাধ্যতামূলক |
প্রমাণপত্রে সংযোজন | আধার কার্ড (শুধুমাত্র বাসস্থান প্রমাণ হিসেবে) |
নাগরিকত্ব প্রমাণ | আধার গ্রহণযোগ্য হবে না |
তথ্যপ্রাপ্তির ব্যবস্থা | EPIC নম্বর দিয়ে অনলাইন সার্চ, BDO ও পঞ্চায়েত অফিসে তালিকা প্রদর্শন |
কার্যকর সময়সীমা | আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে |
মামলাকারী প্রতিষ্ঠান | অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (ADR) |
অন্যান্য রাজ্যে প্রভাব
যদিও এই নির্দেশ মূলত বিহারের ঘটনার ভিত্তিতে এসেছে, তবে এর প্রভাব অন্য রাজ্যেও পড়তে পারে।
- যেসব রাজ্যে ভোটার তালিকা থেকে অনেক নাম বাদ পড়েছে, সেখানেও আধার প্রমাণপত্র হিসেবে গ্রহণের দাবি উঠতে পারে বলে জানা যায় ।
- নির্বাচনী স্বচ্ছতা ও ভোটাধিকার রক্ষায় এটি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে যেতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহলের দাবি ।
কেন এই রায় গুরুত্বপূর্ণ?
- ভোটাধিকার রক্ষা — ভোট সাধারণ মানুষের একটি সাংবিধানিক অধিকার। ভুলবশত বা ইচ্ছাকৃতভাবে নাম বাদ পড়া মানুষের জন্য এই রায় জীবনরক্ষাকারী হতে পারে ।
- প্রক্রিয়া সহজীকরণ — আধার কার্ড বর্তমানে অধিকাংশ মানুষের কাছে সহজলভ্য, ফলে আবেদন প্রক্রিয়া সহজ হবে তাই এমন ।
- নির্বাচনী স্বচ্ছতা — বাদ পড়া ভোটারের তালিকা ও কারণ প্রকাশের মাধ্যমে জনআস্থা বৃদ্ধি পাবে।
পরিশেষে বলা যায়, সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ ভোটারদের জন্য একটি বড় স্বস্তি হতে চলেছে। বিশেষ করে বিহারের সেই ৬৫ লক্ষ ভোটারের জন্য, যারা হঠাৎ করেই ভোটাধিকার হারানোর শঙ্কায় আছেন। আধার কার্ড দিয়ে পুনরায় আবেদন করার সুযোগ থাকছে এবং স্বচ্ছ তথ্য প্রকাশের বাধ্যবাধকতা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক করবে ।

NJ Team Writes content for 5 years. I have well experience in writing content in different niches. Please follow us regularly for getting genuine and authentic information.