ঘরে বসে মাসিক আয় ৫০,০০০+! এটিএম ব্যবসা শুরু করুন নিজের এলাকায় – ATM Franchise Business Idea

ATM Franchise Business Idea:  এবার চাকরি বিকল্প হিসেবে এমন একটি ব্যবসা নিয়ে এসেছি যার মাধ্যমে আপনি চাকরির থেকে মাসে বসে বসে বেশি আয় করতে পারবেন। হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন এক্ষেত্রে আপনাকে কোন কাজ করতে হবে না শুধু একবার এই ব্যবসা শুরু করলে বাড়ি বসে আপনি পেয়ে যাবেন মাসে প্রচুর টাকা। আজকে যে ব্যবসা সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি এই ব্যবসা ডিজিটাল যুগের অন্যতম একটি ব্যবসা যার মাধ্যমে সরাসরি কোন কাস্টমার লেনদেন ছাড়াই বাড়ি বসে একাউন্টে পেতে পারেন প্রতি মাসে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। কিভাবে আবেদন করবেন কিভাবে এই ব্যবসা শুরু করবেন আসুন জেনে নেওয়া যাক।

বর্তমান যুগে সবাই জানতে চাই একটি ঝুকিহীন এবং বিপুল আয় সম্পন্ন ব্যবসার সম্পর্কে। আপনি বেকার হন কিংবা চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী সকলের জন্য এই ব্যবসা উপযুক্ত হবে। আপনি যে কোন পর্যায়ে কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন অনায়াসে। কেননা এক্ষেত্রে আপনার পরিশ্রমের কোন প্রয়োজন নেই এবং কোন কাজ ছাড়াই ঘরে বসে আপনি প্রতিমাসে একাউন্টে পেয়ে যাবেন হাজার হাজার টাকা।

সম্পর্কিত পোস্ট

সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর! অগাস্ট মাসে টানা ছুটি, দেখেনিন ছুটির লিস্ট - August Holiday List

চাকরির চেয়ে নিরাপদ ও আয়বর্ধক বিকল্প—ATM ফ্রাঞ্চাইজি ব্যবসা

আজকের পৃথিবীতে যেখানে বেকারত্ব হু হু করে বাড়ছে, সেখানে যদি এমন কোনো আয় মাধ্যম খুঁজে পাওয়া যায় যেখানে স্থিতিশীল ও তুলনামূলক নিরাপদ আয় করা যায়, তাহলে সেটা অবশ্যই মূল্যবান হবে। আর ATM ফ্রাঞ্চাইজি ব্যবসা এমনই এক আয় মাধ্যম যেখানে একবার সঠিকভাবে ইনভেস্ট করলে, মাসে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম হতে পারে কোনো বাড়তি শ্রম ছাড়াই।

এই ব্যবসার মূল কাঠামোটা খুবই সহজ হয়ে থাকে। আপনি একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির হয়ে একটি ATM বসাবেন। সাধারণত মানুষ সেই ATM ব্যবহার করবে টাকা তোলার জন্য, ব্যালেন্স চেক বা স্টেটমেন্টের জন্য। আর প্রতিটি ট্রানজেকশনের উপর আপনি কমিশন পাবেন। অর্থাৎ যত বেশি মানুষ ব্যবহার করবে, আপনার আয় তত বেশি হয়ে থাকবে।

কেন এই ব্যবসা এত জনপ্রিয়?

  • কম ঝুঁকি, স্থায়ী আয়: এখানে কোনো প্রোডাক্ট নেই, নেই মার্কেটিংয়ের সমস্যা। শুধু একটি ATM সেটআপ করলেই মাসে মাসে মোটা অঙ্কের ইনকাম।
  • ডিজিটাল ইন্ডিয়ার চাহিদা:  ভারতের মতো দেশে নগদ টাকার প্রয়োজনীয়তা এখনও শেষ হয়নি। বরং প্রত্যন্ত এলাকাতে ATM-এর চাহিদা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
  • রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট (ROI) ভালো: আপনি ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে বিনিয়োগ করে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে পুরো টাকাই তুলে ফেলতে পারেন এই ব্যবসায়।
  • কম সময় ও পরিশ্রম: দৈনিক কোনো উপস্থিতির দরকার নেই। শুধু সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করলেই চলবে।

কোথায় কোথায় ATM বসালে বেশি আয় হবে?

এই ব্যবসা লাভজনক তখনই হয় যখন এটি সঠিক লোকেশনে বসানো হয়ে থাকে। যেমন:

  • জনবহুল গ্রাম বা শহর এলাকা
  • বাজার এলাকায়
  • হাসপাতাল বা স্কুল-কলেজের আশেপাশে ভালো হয়
  • বাস স্ট্যান্ড বা ট্রেন স্টেশনের কাছাকাছি
  • হাউজিং কমপ্লেক্সের পাশের রাস্তা

নোট :ATM বসানোর জায়গা অবশ্যই গ্রাউন্ড ফ্লোরে হতে হবে এবং সেখানে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ বাধাহীনভাবে থাকতে হবে।

এই ব্যবসা শুরু করতে কী লাগবে?

ATM ফ্রাঞ্চাইজি ব্যবসা শুরু করতে কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় মাথায় রাখতে হবে:

  1. একটি দোকান বা ঘর: যেখানে ATM মেশিন বসানো হবে (পাকা ছাদসহ, প্রেফারেবলি ৫৫-৬০ স্কয়ার ফিট জায়গা)
  2. ডকুমেন্টস সমূহ:
    1. জমির কাগজ বা দোকানের ভাড়ার কাগজ
    2. আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার আইডি
    3. শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
    4. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস
    5. GST সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
  3. নিরাপত্তার ব্যবস্থা: CCTV, সিকিউরিটি গার্ড (আবশ্যিক নয়, তবে হলে ভালো)
  4. UPS বা জেনারেটর ব্যাকআপ: বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় ATM চালু রাখতে হবে এর যথাযথ ব্যবস্থা।

কিভাবে এই ব্যবসার জন্য আবেদন করবেন?

এখন অনেক ব্যাংক এবং ATM কোম্পানি ফ্রাঞ্চাইজি অফার করে থাকে। কিছু জনপ্রিয় কোম্পানি হলো:

  • Tata Indicash ATM
  • Hitachi ATM Franchise
  • India1 ATM
  • Muthoot ATM
  • State Bank of India (SBI) এর পক্ষে India1 বা Tata Indicash-এর মাধ্যমে ফ্রাঞ্চাইজি দেওয়া হয়ে থাকে 

সতর্কতা: কখনও সরাসরি “SBI ATM Franchise” নামে কেউ কল করলে বা লিংক পাঠালে সতর্ক থাকবেন। SBI সরাসরি ফ্রাঞ্চাইজি দেয় না। নিজ দায়িত্বে সবকিছু যাচাই করে পদক্ষেপ নিবেন।

✅ আবেদন করার আগে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট যাচাই করতে হবে
✅ Google-এ কোম্পানির নাম লিখে “official website” লিখে সার্চ করে দেখে নিবেন
✅ বা চাইলে আমি নির্ভরযোগ্য কোম্পানির ওয়েবসাইটের তালিকা দিতে পারি

এর পুঁজি কত? ইনকাম কত?

এই ব্যবসার মূল ভিত্তি ইনভেস্টমেন্ট এবং এর উপর নির্ভর করেই ইনকাম:

  • মূলধন: ₹2,00,000 থেকে ₹5,00,000 এর মধ্যে হতে পারে
  • সেটআপ খরচ: দোকান, AC, UPS, সাইনবোর্ড, ক্যামেরা ইত্যাদি খরচ করতে হবে
  • ইনকাম: এখানে প্রতিমাসে ₹60,000 – ₹70,000 পর্যন্ত হতে পারে
  • কমিশন: সাধারণত প্রতি ক্যাশ উইথড্রয়াল বা ব্যালেন্স চেকিং-এ কমিশন দেওয়া হয়

এখানে যদি দিনে ৫০ জন মানুষ ট্রানজেকশন করে এবং প্রতি ট্রানজেকশন থেকে আপনি গড় ৮ টাকা পান, তাহলে মাসিক ইনকাম দাঁড়ায়:

উদাহরণ স্বরুপ : ৫০x৩০=১৫০০ট্রানজেকশন১৫০০x₹৮=₹১২,০০০(কমিশন)+অন্যান্যইনসেনটিভ=₹৪০,০০০–₹৭০,০০০পর্যন্তইনকামসম্ভব৫০ x ৩০ = ১৫০০ ট্রানজেকশন ১৫০০ x ₹৮ = ₹১২,০০০ (কমিশন) + অন্যান্য ইনসেনটিভ = ₹৪০,০০০ – ₹৭০,০০০ পর্যন্ত ইনকাম সম্ভব

এই ব্যবসায় সফল হতে চাইলে কী পদক্ষেপ নিবেন ?

  • এর জন্য সঠিক জায়গা বেছে নিন — বাজার, বাস স্ট্যান্ড, স্কুল, হাসপাতাল
  • লোকাল প্রচার করুন — লিফলেট, ব্যানার ব্যবহার করুন ATM সম্পর্কে জানাতে
  • যত্ন নিন ATM মেশিনের — নিয়মিত পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করুন
  • কাস্টমার সার্ভিসে সচেতন থাকুন — মেশিনে ত্রুটি হলে তৎক্ষণাৎ কোম্পানিকে জানান

আপনার পরবর্তী কর্পোরেট চাকরি হতে পারে একটি ATM!

ATM ফ্রাঞ্চাইজি ব্যবসা শুধুমাত্র চাকরির বিকল্প নয়, বরং একবার সফল হলে এটি আপনার জন্য হতে পারে একটি প্যাসিভ ইনকামের প্রধান উৎস এবং পরবর্তীতে মাস্টার প্রাণ চায় যে নিয়ে বড় কিছু করতে পারেন

পরিশেষে বলা যায়, আপনার সঠিক পরিকল্পনা, একটি ভাল লোকেশন, এবং নির্ভরযোগ্য কোম্পানি বাছাই করে এই ব্যবসা আপনার জীবন বদলে দিতে পারে।

আরও পড়ুন

১০ ভবিষ্যৎ মুখি ব্যবসার আইডিয়া! আয় মাসিক ৩ লাখেরও বেশি, তাড়াতাড়ি দেখেনিন - Future 10 Business Idea

Leave a Comment