পড়াশোনার পাশাপাশি সাইড ইনকাম মাসে 20 হাজারের বেশি! ৩ টিপস দেখুন এখনই – Income Tips for students

Income Tips for students:  এবার ছাত্রছাত্রী বা বেকার বা অন্য কাজে ব্যস্ত থাকলেও অতিরিক্ত ইনকাম করার সুযোগ থাকছে আপনার হাতে। পড়াশোনা বা অন্য কাজ করলেও মাসে মাসে এই কাজের পাশাপাশি ২০,০০০ বা তার বেশি আয় করতে পারেন। আসুন তাহলে আজকের প্রতিবেদনে ৩ টি এমন আইডিয়া নিয়ে উপস্থিত হয়েছি তা জানার জন্য শেষ পর্যন্ত পড়বেন। নিচে ধাপে ধাপে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে –

আমরা সকলে জানি, বর্তমান সময়ে অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী আছেন যাঁরা পড়াশোনায় খুব ভালো হলেও, আর্থিক সমস্যার কারণে মাঝপথে তাদের শিক্ষাজীবন থামিয়ে দিতে বাধ্য হয় বা অনেকে পুরোপুরি বেকার থাকায় নিজের খরচ চালাতে অক্ষম। একদিকে যেমন পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া দরকার, অন্যদিকে কিছু অতিরিক্ত আয়ও প্রয়োজন হয়। ঠিক এই কারণেই আজকের আলোচনায় থাকছে এমন ৩টি ইউনিক ও সহজ ব্যবসায়িক আইডিয়া, যা একজন ছাত্র খুব সহজেই পড়াশোনার পাশাপাশি শুরু করে ঋালো আয় করতে পারবে। এগুলোর মাধ্যমে প্রতি মাসে আপনি ২০,০০০ টাকা বা তারও বেশি রোজগার করতে পারবেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

রাজ্যে পুরোনো ও নতুন OBC সার্টিফিকেট পুনঃবৈধকরণ ও পুনঃপ্রদানের নতুন নির্দেশিকা জারি - WB OBC New Update

ড্রপ শিপিং ব্যবসা: বিনা পুঁজিতে নিজের অনলাইন দোকান

বর্তমানে ড্রপ শিপিং একটি এমন ব্যবসায়িক মডেল, যেখানে আপনাকে কোনো প্রোডাক্ট স্টকে রাখতে হয় না অর্থাৎ ইনভেস্ট মেই। এর জন্য আপনি শুধু একটি অনলাইন স্টোর বানান এবং তাতে বিভিন্ন বিক্রেতার প্রোডাক্ট যুক্ত করে ফেলুন। যখন কোনো গ্রাহক আপনার সাইট থেকে প্রোডাক্ট অর্ডার করবেন, তখন সেই অর্ডার সরাসরি ওই বিক্রেতার কাছে চলে যায় এবং সে প্রোডাক্টটি গ্রাহকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এতে আপনার দায়িত্ব কেবল প্রোডাক্ট তালিকা ও কাস্টমার সার্ভিস সামলাতে হবে।

এই ব্যবসার জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট নিস (niche) বেছে নেওয়া দরকার। যেমন, শুধু স্টেশনারি সামগ্রী, ইলেকট্রনিক গ্যাজেটস, কলেজ স্টুডেন্টদের এক্সেসরিজ ইত্যাদি। Shopify, WooCommerce বা Ecwid-এর মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনি সহজেই অনলাইন স্টোর তৈরি করে শুরু করতে পারবেন। প্রোডাক্টের প্রাইস আপনি নিজের মতো করে দিতে পারবেন এবং প্রতিটি বিক্রয়ে নিজের মতো লাভ তুলতে পারবেন।

এই ব্যবসায়িক মডেলটি বাস্তবায়িত করতে সময় কম লাগে, ইনভেস্টমেন্ট কম এবং স্টুডেন্টদের জন্য পারফেক্ট, বিশেষত যারা প্রযুক্তির সঙ্গে অভ্যস্ত রয়েছে।

ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রির ব্যবসা: নিজেই তৈরি করুন ডিজিটাল সম্পদ

আজকের ডিজিটাল যুগে, অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইন প্রোডাক্টের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আপনি যদি একটু সৃজনশীল হন এবং ডিজাইন, মিউজিক, কোডিং, কনটেন্ট রাইটিং বা ভিডিও এডিটিং-এ দক্ষতা থাকে তাহলে নিজের ডিজিটাল প্রোডাক্ট বানিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করতে পারবেন।

উদাহরণস্বরূপ কিছু ডিজিটাল প্রোডাক্ট যা আপনি তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন:

  1. E-book (নোটস, গাইড, টিউটোরিয়াল) বিক্রি
  2. ডিজিটাল আর্ট বা পোস্টার তৈরি
  3. ভিডিও টেমপ্লেট (Capcut, VN ব্যবহার করে)
  4. Canva টেমপ্লেট জানা
  5. মিউজিক ট্র্যাক বা সাউন্ড ইফেক্ট জ্ঞান
  6. অনলাইন কোর্স (Udemy বা Gumroad-এ আপলোড করা যায়)

আপনার ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য Gumroad, Sellfy, Etsy অথবা নিজের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আয় করতে পারেন। আপনি যদি Instagram, YouTube বা Telegram চ্যানেলের মাধ্যমে মার্কেটিং করেন, তবে আরও সহজে বিক্রি বাড়ানো সম্ভব হবে।

ভালো বিষয় হলো, এই ব্যবসা থেকে আপনি শুরুতেই ₹৫০০০–₹১৫,০০০ আয় করতে পারবেন এবং ধীরে ধীরে এটি ₹৩০,০০০ পর্যন্ত উঠতে পারে বলে  অনুমান করা হচ্ছে।

ডোমেইন কেনাবেচার ব্যবসা: একবার কিনুন, হাজারে বিক্রি করুন

ডোমেইন ব্যবসা (Domain Flipping) হলো এমন একটি লাভজনক কাজ যেখানে আপনি ভাল মানের ডোমেইন কিনে পরে তা উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে ভালো লাভ করতে পারবেন। এই ব্যবসাকে অনেকেই “ডোমেইন ইনভেস্টিং” নামেও চেনেন।

ধাপে ধাপে এই ব্যবসা শুরু করার উপায়:

  • GoDaddy, Namecheap, Dynadot-এর মতো সাইট থেকে কমদামি বা এক্সপায়ার হওয়া ভালো নামের ডোমেইন কিনে রাখুন।
  •  প্রথমে এমন কিছু ডোমেইন খুঁজুন যেগুলো ব্র্যান্ডেবল এবং ছোট। যেমন: StudyQuick.in, BongLearn.com ইত্যাদি।
  • ভালো ডোমেইন কিনে রাখুন এবং Sedo, Dan, Flippa-র মতো মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করে দিয়ে রেট তৈরি করুন।
  • কেউ যদি সেটি কেনার আগ্রহ দেখায়, আপনি ১০ গুণ বা তারও বেশি দামে সেটি বিক্রি করে নিজে লাভ নির্ধারন করুন।

উদাহরণ স্বরুপ, ধরুন আপনি ₹৯০০ টাকায় একটি ডোমেইন কিনেছেন, তা আপনি ₹৯,০০০ থেকে ₹৩০,০০০ বা তার বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন যদি তার ডিমান্ড থাকে। এর জন্য আপনাকে ডোমেইন মার্কেট ট্রেন্ড নিয়ে একটু জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

ডোমেইন ব্যবসা খুবই প্যাসিভ ইনকামের একটি উৎস এবং কম সময়ে বেশ বড় রিটার্ন দিতে সক্ষম হয়।

শিক্ষার্থীদের জন্য এই ব্যবসা আইডিয়া গুলো কতটা উপযোগী?

এই তিনটি ব্যবসা-ই এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে যাতে কোনো স্টুডেন্ট খুব সহজেই পড়াশোনার ফাঁকে, দিনে ২–৩ ঘন্টা সময় দিয়ে পরিচালনা করতে পারবেন। এর কোনোটার জন্যই বেশি মূলধনের দরকার হয় না,  বরং শুধুমাত্র একটি স্মার্টফোন, ইন্টারনেট এবং সৃজনশীলতা জ্ঞান থাকলেই কাজ শুরু করা যায়।

বিশেষ করে যারা পড়াশোনা করছে এবং তারা খরচ নিজের কাঁধে নিতে চান বা পরিবারের আর্থিক সহায়তা করতে চান, তাদের জন্য এই ব্যবসা গুলি নিঃসন্দেহে লাভজনক এবং নিরাপদ উপায় হবে।

শেষে বলা যায়, আজকের দুনিয়ায় পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম করা কোনো স্বপ্ন নয়, বরং বাস্তব বিষয়। প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেটের সাহায্যে এখন ছাত্র-ছাত্রীরাও সফল উদ্যোক্তা হতে পারে অতি সহজে। উপরের এই ৩টি ব্যবসা আইডিয়া — ড্রপ শিপিং, ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি, এবং ডোমেইন ফ্লিপিং — শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে ভালো অপশন হতে পারে যাতে ইনভেস্টও কম, যারা পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়।

তবে এক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা, ধারাবাহিকতা এবং একটু ধৈর্য ধরে কাজ করলে আপনিও মাসে ₹২০,০০০ বা তারও বেশি উপার্জন করতে পারবেন।

আরও পড়ুন

১০-১৫ হাজার পুঁজি, মাসিক আয় ৩০-৪০ হাজার নিশ্চিত! ৪ ইউনিক ব্যবসা - 4 Top Business Idea

Leave a Comment