WB OBC Case Update 2025: রাজ্যে OBC সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলাটি আজ সুপ্রিম কোর্টে নতুন মোড় নিয়েছে। বহুদিন ধরে চলতে থাকা এই আইনি লড়াইয়ে রাজ্য সরকার একটি নতুন উদ্যোগ নিয়েছিল, যার ফলে মামলাটি একেবারে ভিন্ন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। যদিও রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষদের জন্য সংরক্ষণ নীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক ও আলোচনা চলছিল, তবে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি নতুন সমীক্ষা চালিয়েছিল এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ করে সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে বিশেষ লিভ পিটিশন (SLP) দাখিল করে থাকে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে রাজ্য সরকার OBC তালিকা পুনঃসংজ্ঞায়িত করার চেষ্টায় নতুন মাত্রা যোগ করতে চেয়েছে।
সম্পর্কিত পোস্ট
সুখবর! কাজের জন্য অন্য রাজ্যে নয়, বাংলায় কর্মসংস্থান, রাজ্যের কর্মশ্রী প্রকল্পের নয়া দিশা - Big News For Migrant Workersআজকের শুনানির প্রেক্ষিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে। রাজ্য সরকার SLP নম্বর ৩৪০৬/২০২৫-এর অধীনে একটি আবেদন দাখিল করেছে, যার শিরোনাম “The State of West Bengal Versus Amal Chandra Das”। এটি সুপ্রিম কোর্টে ২৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। রাজ্যের পক্ষ থেকে দাখিল করা এই নতুন পিটিশনের উদ্দেশ্য হলো রাজ্যজুড়ে নতুন করে চালানো সমীক্ষার তথ্য সুপ্রিম কোর্টের সামনে উপস্থাপন করা, যাতে OBC সংরক্ষণের যৌক্তিকতা এবং কার্যকারিতা প্রমাণ করা সহজ হয়। রাজ্য দাবি করছে যে, তারা নতুনভাবে রাজ্যের বিভিন্ন অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে নিরীক্ষণ করে একটি স্বচ্ছ তালিকা প্রস্তুত করেছে, যা আগের তুলনায় অধিক তথ্যভিত্তিক এবং বাস্তবসম্মত বলে দাবি।
এবার এই মামলার শুনানি একটি বিশেষ বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে প্রধান বিচারপতি সহ বিচারপতি বি.আর. গাভাই, বিচারপতি কে. বিনোদ চন্দ্রণ এবং বিচারপতি এন.ভি. আনজারিয়া থাকবেন। মামলাটি কোর্ট নম্বর ১-এ সকাল ১০:৩০ থেকে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। তবে শুনানির নির্দিষ্ট সময় এই মুহূর্তে নির্ভর করছে বেঞ্চের অন্যান্য বিষয় শেষ হওয়ার উপর। আসল মামলাটি ছাড়াও আজ আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ পিটিশন তালিকাভুক্ত হয়েছে—“State of West Bengal Versus Purabi Das” (SLP No. 1742/2025) এবং “State of West Bengal Versus Atmadeep”—যেগুলো সংশ্লিষ্ট এবং সংযুক্ত হিসেবে একসঙ্গে শুনানি হতে পারে। এই সংযুক্ত পিটিশনগুলোর তালিকা নম্বর যথাক্রমে ১৩, ১৩.১ এবং ১৩.২।
এই মামলাটি সর্বশেষ মার্চ ২০২৫-এর ১৮ তারিখে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছিল, কিন্তু কোনো কার্যকর শুনানি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক। পরবর্তীতে মামলাটি ২৯ জুলাই ২০২৫-এর জন্য প্রাথমিকভাবে তালিকাভুক্ত হলেও, তা এখনও কল লিস্টে দৃশ্যমান নয়। এর মানে হলো, নির্দিষ্ট তারিখে মামলাটি আদৌ শুনানি হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
এই মামলা কেবল একটি আইনি ইস্যু নয়, বরং এর প্রভাব রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ সাধারন মানুষের উপর। সংরক্ষণ নীতি শুধুমাত্র সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার হাতিয়ার নয়, বরং দীর্ঘদিনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিরোধও বটে। রাজ্য সরকার তার নতুন তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করে বোঝাতে চায় যে রাজ্যের OBC তালিকায় থাকা জনগোষ্ঠীর যথার্থতা পুনঃনিরীক্ষা করা হয়েছে এবং তারপর সেই অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
রাজ্য সরকার দাবি করছে, এই সমীক্ষা শুধুমাত্র রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক উদ্দেশ্যে নয়, বরং সমাজের বাস্তবচিত্র তুলে ধরার একটি প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় সমীক্ষা চালিয়ে স্থানীয় স্তরের অনগ্রসর শ্রেণীগুলোর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত অবস্থা বিশ্লেষণ করে দেখা দিয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতেই নতুন তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে এবং সেই তালিকা আদালতের সামনে পেশ করা হবে বলে জানা যায়।
এমনকি আদালতের কাছে ১৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে অতিরিক্ত নথি জমা দেওয়ার অনুমতির আবেদনও করা হয়েছিল। এতে রাজ্য সরকার স্পষ্ট করেছে যে তারা চাইছে আদালত পুরো তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করুক এবং সেই অনুযায়ী রায় দিয়ে থাকুক। এটি সরকারের পক্ষ থেকে একটি সাহসী পদক্ষেপ, যা বোঝায় যে তারা এই মামলায় সক্রিয় ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে।
Last modified 12:48 dated 28-07-2025
ওবিসি শংসাপত্র মামলায় সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ, রাজ্যে ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বস্তি
রাজ্যে ওবিসি (অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি) শংসাপত্র সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি নিয়ে চলমান আইনি জটের মাঝে অবশেষে স্বস্তির বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাই কোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের করা আবেদন গ্রহণ করে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী কালের স্থগিতাদেশ দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই. চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানায়, হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত “প্রাথমিকভাবে ভুল” বলে মনে হচ্ছে।
যদিও হাই কোর্টের স্থগিতাদেশে রাজ্যের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। অনেকেই ভাবছিলেন, শংসাপত্র বাতিল হওয়ায় কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে ওবিসি কোটা প্রভাবিত হবে কি অন্য কিছু। সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশে সেই আশঙ্কা আপাতত দূর হয়ে গেলো।
এদিন আদালত বলেছে, সংরক্ষণ প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, যা আলাদা আইন ছাড়াও কার্যকর হতে পারে। প্রধান বিচারপতি বলেন, “ইন্দিরা সাহনী মামলায় বলা হয়েছিল সংরক্ষণ কার্যনির্বাহী সিদ্ধান্ত হিসেবেই বৈধ।”
এই মামলায় পরবর্তী শুনানির জন্য নোটিশ জারি করা হয়েছে এবং হাই কোর্টের নির্দেশ আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। এর ফলে রাজ্যজুড়ে ওবিসি শংসাপত্র ভিত্তিক ভর্তি ও সুযোগ প্রাপ্তি প্রক্রিয়া ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারে। এটি রাজ্যের হাজার হাজার পড়ুয়া ও চাকরি প্রার্থীদের জন্য নিঃসন্দেহে বড় খবর হতে চলেছে ।
আরও পড়ুন
বাড়ি বসে কাজ, মাসিক ইনকাম ২০-৫০ হাজার টাকা, কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই সুযোগ - Work From Home Business Idea
NJ Team Writes content for 5 years. I have well experience in writing content in different niches. Please follow us regularly for getting genuine and authentic information.