বাড়ি বসে কাজ, মাসিক ইনকাম ২০-৫০ হাজার টাকা, কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই সুযোগ – Work From Home Business Idea

Work From Home Business Idea:  বর্তমান যেহেতু ডিজিটাল যুগ তাই ডিজিটাল ভাবে ইনকাম করা অতি সহজ হয়ে উঠেছে। আর এর সবথেকে ভালো দিক হল এতে যে কোন কাজের ফাঁকে কিংবা আপনার থাকার সময় মত কাজ করে ভালো আয় করা যায়। আরো একটি সুবিধা হল এক্ষেত্রে আপনি বাড়ি বসেই কাজ করার সুযোগ থাকে। সব মিলিয়ে যারা বিভিন্ন কাজের যুক্ত আছেন কিংবা যারা পড়ালেখা করছেন অথবা বেকার সব ধরনের মানুষের জন্য এটি একটি দারুন সুযোগ হতে চলেছে। তাই আজকের প্রতিবেদনে আপনার জন্য এমন কিছু বাড়িতে বসে কাজের সুযোগ নিয়ে এসেছি যার মাধ্যমে মাসে ভালো আয় করতে পারেন।

আজকের প্রতিবেদন এই যে বাড়ি বসে কাজের কথা বলতে যাচ্ছি সেখানে ছেলে-মেয়ে উভয় এমনকি কম বয়সী থেকে বয়স্ক সকলেই অবসর সময়ে কিংবা তার ফুল টাইম দিয়ে এই কাজ করতে পারেন।এক্ষেত্রে আপনি চাইলে আপনার স্কিল অনুযায়ী বিভিন্ন এমাউন্টে ইনকাম করতে পারেন। কিছু কিছু কাজের জন্য নূন্যতম ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ইনকাম করা অতি সহজ হয় এ ক্ষেত্রে। আসুন তাহলে নিচে দেখে নেওয়া যাক

সম্পর্কিত পোস্ট

নিজের ঘরেই ব্যবসা, ₹৪০,০০০ টাকা মাসিক আয়, নিজের কোম্পানি তৈরি করুন - Agarbati Business Idea

চাকরির অভাবে হতাশ? তাহলে শুরু করুন কন্টেন্ট রাইটিং

যাঁরা বর্তমানে পড়াশোনা করেও চাকরি পাচ্ছেন না, তাঁদের জন্য কন্টেন্ট রাইটিং হতে পারে একটি দুর্দান্ত বিকল্প কাজের সু। এটি এমন একটি কাজ যেখানে আপনি নিজের লেখার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ভালো আয় করতে পারেন।

যদি আপনার লেখার দক্ষতা থাকে, তবে আজই শুরু করুন।কি লিখবেন জানেন না? তাহলে প্রথমে কিছু নিউজ পোর্টাল বা ব্লগ পড়ুন, যেমন Anandabazar, Zee 24 Ghanta বা NDTV বা অন্যান্য। এগুলো থেকে আপনি লেখার ধরন শিখতে পারবেন বাড়ি বসে। এরপর নিজের মতো করে বিষয় নির্বাচন করে লেখা শুরু করুন।

আজকের দিনে Fiverr, Upwork, Freelancer, ProBlogger-এর মতো ওয়েবসাইট থেকে হাজার হাজার কনটেন্ট রাইটিং প্রজেক্ট পাওয়া যায়। এখানে নিজের প্রোফাইল তৈরি করে আবেদন করলেই আপনি কাজ পেতে পারেন এবং ভালো আয় করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং: নিজের দক্ষতাকে রূপ দিন আয়ে

আপনার যদি ফটো এডিটিং, ভিডিও এডিটিং বা গ্রাফিক ডিজাইন কাজ শেখা থাকে, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং হবে আপনার জন্য বিরাট এক সুযোগ। এই কাজগুলো এখন সর্বোচ্চ চাহিদার তালিকায় রয়েছে যারা অনলাইনে ইনকাম করতে চায়।

ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেমন Fiverr, Upwork, Guru, Freelancer ইত্যাদিতে কাজ করে অনেকেই মাসে ৫০,০০০ টাকা বা তারও বেশি ইনকাম করছেন। এখানে আপনি প্রতি ঘণ্টায় $১০-$২০ ডলার হিসেবে চার্জ করতে পারেন, যদি আপনার দক্ষতা ভালো হয়।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য একদম নতুন হলে, আপনি ইউটিউবে গিয়ে ফ্রি কোর্স দেখে তা শিখে নিতে পারেন। “Canva”, “Adobe Photoshop”, “DaVinci Resolve” ইত্যাদি সফটওয়্যার শেখার মাধ্যমেই আপনি হয়ে উঠতে পারেন একজন সফল ফ্রিল্যান্সার যা উদাহরণ হয়ে থাকবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং: বিক্রি করলেই আয়

অনেকেই হয়তো জানেন না, তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি শক্তিশালী অনলাইন ইনকামের মাধ্যম বর্তমানে। এতে আপনাকে কোনো প্রোডাক্ট বানাতে বা নিজের স্টোর খুলতে হয় না। বরং আপনি Flipkart, Amazon, Meesho-র মতো সাইট থেকে একটি এফিলিয়েট অ্যাকাউন্ট খুলে তাদের প্রোডাক্ট নিকের বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া একাউন্টে শেয়ার করবেন।

এই শেয়ারের লিংকের মাধ্যমে যদি কেউ সেই প্রোডাক্ট কিনে, তাহলে আপনি প্রোডাক্ট অনুযায়ী কমিশন পাবেন।
এই কমিশনের পরিমাণ হতে পারে ৫% থেকে শুরু করে ৩০%-৪০% পর্যন্ত।

তবে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে ভালো ইনকামের জন্য আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে হবে বুদ্ধিমতভাবে। আপনি যদি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, বা টেলিগ্রামে একটি নির্দিষ্ট ক্যাটেগরির পেজ বা চ্যানেল চালান (যেমন—ফ্যাশন, ইলেকট্রনিক্স, কুকিং), তাহলে সেখান থেকেই আপনি হাজারো মানুষের কাছে প্রোডাক্ট পৌঁছে দিতে পারবেন এবং তাতে শুরু হবে ইনকাম ।

ইউটিউব থেকে শেখা: স্কিল ডেভেলপ করুন বিনামূল্যে

এখনো পর্যন্ত যাঁরা এখনো কোনও স্কিল শিখে উঠতে পারেননি, তাঁদের জন্য ইউটিউব হলো একেবারে ফ্রি শিক্ষক মাধ্যমে। আপনি চাইলে এখানে ফ্রিল্যান্সিং, কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজাইনিং, মার্কেটিং, কোডিং ইত্যাদি শেখার অজস্র টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন।

শুধু শেখা নয়, ইউটিউব থেকেও আপনি আয়ের রাস্তা সহজেই খুলে ফেলতে পারেন। যদি নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে পারেন এবং সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে পারেন, তাহলে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের মাধ্যমে এডসেন্স থেকে ইনকাম করা সম্ভব হবে।

অনলাইন টিউশন: শিক্ষাদান এখন ঘরে বসে

যাঁরা পড়াতে ভালোবাসেন অর্থাৎ শিক্ষক বা কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর দখল আছে, তাঁরা অনলাইন টিউশনের মাধ্যমে মাসে ভালো অর্থ আয় করতে পারেন। Vedantu, Byju’s, Unacademy, PhysicsWallah-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো নিয়মিত টিউটর নিয়োগ করে থাকে আপনিও সুযোগ নিতে পারেন।

আপনি চাইলে প্রাথমিক ভাবে হোয়াটসঅ্যাপ, Zoom বা Google Meet-এর মাধ্যমে নিজের ক্লাস শুরু করতে পারেন। এতে কোনও অফিস খুলতে হবে না, শুধু ইন্টারনেট আর সময় হলেই যথেষ্ট।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার: স্মার্টফোনে করেই আয়

বর্তমানে সকলেই সোস্যাল মিডিয়ায় সময় কাটাচ্ছেন, যদি আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পছন্দ করেন এবং অবশ্যই জানেন কীভাবে পেজ চালাতে হয়, তাহলে আপনি ফেসবুক/ইনস্টাগ্রাম পেজ ম্যানেজমেন্টের কাজ করতে পারেন। অনেক ছোট বিজনেস বা ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তাদের সোশ্যাল পেজ পরিচালনার জন্য লোক খোঁজে থাকেন। এই কাজের জন্যও আপনি ঘরে বসে মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন অনায়াসে।

অনলাইন কোর্স তৈরি করুন: নিজের দক্ষতা অন্যদের শেখান

এছাড়াও আপনি যদি কোনও বিশেষ বিষয়ে দক্ষ হন (যেমন ওয়েব ডিজাইন, মার্কেটিং, ভাষা শেখানো, কুকিং), তাহলে নিজের একটি পেইড কোর্স তৈরি করুন এবং তা বিক্রি করে ইনকাম শুরু করুন। Udemy, Skillshare, Graphy, Gumroad – এসব প্ল্যাটফর্মে আপনি আপনার কোর্স আপলোড করে হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন এবং সেখান থেকে ইনকাম করা সম্ভব ।

বর্তমানে অনেকে রয়েছে যারা ঘরে বসে আয় করতে চাই এবং তাদের জন্য এই প্রতিবেদনটি রচনা করা হয়েছে। তাই উপরোক্ত দক্ষতাগুলোর মধ্যে আপনার মধ্যে যদি কোনটি থেকে থাকে তাহলে ঘরে বসে না থেকে এই কাজ এখনই শুরু করে ফেলুন। প্রথমদিকে এর ইনকাম কম হলেও আস্তে আস্তে ভালো ইনকামের মুখ দেখতে পারবেন। তবে কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই বিভিন্ন সোর্স থেকে আরো বিস্তারিত জেনে নিবেন।

আরও পড়ুন

মাসিক ইনকাম ৪০,০০০ টাকা! প্যাকিং এর ব্যবসা করে নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করুন - Packing Business Idea

Leave a Comment